মেয়েটি

আচ্ছা মেয়েটা যাওয়ার সময় পিছনে ফিরে তাকায় না কেন?

তাহলে কি …. দূর আমি এই সব কি চিন্তা করছি।

ইদানিং আমার মাথা পজেটিভ কোন চিন্তাই আসে না যা আসে তা খালি নেগেটিভ। অব্যশই সব পজেটিভ কিন্তু ভাল না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেভেটিভ ই ভাল। এই তো সেদিন পাশের বাড়ীর একজনের শরীর খারাপ করলো, বেশকিছু হাই-লেভেলের কিছু টেস্ট করে ধরা পড়লে এইচ আই …. পজেটিভ। কোথায় সবার খুশি হওয়ার কথা , তা না উল্টা সবাই চিন্তাই ভেঙ্গে পড়লো। সেদিন হতে আমার মনে দৃঢ়ভাবে গেথে গেল রেজাল্ট পজেটিভ না হয়ে নেগেটিভ হলেই ভাল হয়।

বাপ্পী হঠাৎ করে কইলো দোস্ত তোরে মনে হয় ঐ মাইয়্যার চাইতে তার বান্ধবীটা বেশী লাইক করে।

ক্যামনে বুঝলি…

আরে দেখ না হের বান্ধবী যাওয়ার সময় বার বার পিছনে ফিরে দেখছে…

আমি অবাক হয়ে তাই দেখলাম, আসলেই তো, বন্ধুর কথা শুনে ভীষণ চিন্তাই পড়ে গেলাম।

তাইলে কি আমি ভুল করতেছি…..

আমার এই বন্ধু নোয়াখালীর,  কেন যেন সবাই নোয়াখালীর বদনাম করে তা আমার মাথায় আসে না। অথচ দেখ এই বন্ধু-ই আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। যখনই কোন পরামর্শের প্রয়োজন হয়েছে , সর্বপ্রথম আমারই এই বন্ধই এগিয়ে এসেছে। যেমন, সবাই আমারে আদর করে লাশ নামে ডাকলেও আমার এই বন্ধুটি সব সময় পলাশ নামেই ডাকে।

আমার মনের অবস্থা কেরাসিন, যেন কেউ ম্যাচের কাঠি ফেলে দিলেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠবে। বাপ্পী ঠিকই বুঝতে পারলো, কিন্তু যার জন্য এই হাল সে যে কেন বুঝে না।

বাপ্পী অনেকক্ষন চোখ বন্ধ করে আছে, যখনই এ ব্যাটায় চোখ বন্ধ করে থাকে তখনই তার জিলাপী প্যাচ মার্কা বুদ্ধি বের হয়। আমি অপেক্ষা করছি কখন সে চোখ খুলে, টানা ১০ মিনিট পর চোখ খুলে একটা ভুবন ভোলানো হাসি দিয়ে বলল দোস্ত , মেয়েটিকে তোর প্রতি ইমপ্রেস বাড়ানোর উপায় বের করে ফেলেছি। আমি খুশিতে গদগদ তার দিকে তাকেই সে বলল , ৩ টা কাজ করতে পারবি।

আমি বললাম দুনিয়া একদিকে আর তোর কাজ আরেক দিকে , মেয়েটিকে পাওয়ার জন্য আমি আমার জান পর্যন্ত দিতে রাজী। বাপ্পী কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলল জান দিলে আর মেয়েটারে পাওয়ার দরকার নাই, তুই জান দিতে যা , আমি চললাম।

বাপ্পীর কথা শুনে আমার খুশির জোয়ারে হালকা বাধা আসল। বাপ্পী এবার চেহেরাটা গম্ভীর করে বলল শুন আমি যা বলছি ( এই ব্যাটার এই একটা জিনিষই খারাপ লাগে যখনই কোন পরামর্শ দেয় তখন চোখ-মুখ কেমন কঠিন করে একটা গাম্ভীর্য ভাব নিয়ে আসে) ,

১। তুই একটা মরট সাইকেল কিনে ফেল

২। রেগুলার হরলিকস খা

৩ । তোর গায়ের রং ফর্সা করার জন্য ফেয়ার এন্ড লাভলী ব্যবহার কর।

দোস্তে প্রথম এবং শেষেরটা বুঝলাম কিন্তু মাঝের টা কিছুই বুঝলাম না। হরলিকস এর সাথে প্রেম এর কি সর্ম্পক।  জিগাসাও করতে পারছি না, কারণ ব্যাটায় যখন পরার্মশ দেয় কোন প্রশ্ন করলে রেগে যায়। এর পর আজকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম , ক, হরলিকস এর সাথে আমার এই সর্ম্পকের কি ?

আজকে মনে হয় আমার অবাক হওয়ার দিন, দোস্ত আমার কোন রকম রাগ না করে একটা হাসি দিয়ে বলল, ব্যাটা তুই যারে চাস , সে তো তোর চাইতেও একটু লম্বা, ছোট বেলায় যদি হরলিকস খাইতি তাহলে আজকে তুইও লম্বা হইতি।

কথা গুলো বেশ মনে ধরলো ধীরে ধীরে বাড়ীর দিকে আগাতে লাগলাম, পাল্লা দিয়ে সূর্যটাও ডুবতে শুরু করেছে। বাসায় পৌছতে পৌছতে রাত হয়ে গেল। মা হাসি মুখে দরজা খুলে দিলো, কিন্তু মা কে দেখে আজ আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আসলেই আজ আমার অবাক হওয়ার দিন , মা কে দেখে কেন মেজাজ খারাপ কেন হচ্ছে।

মা আমাকে দেখে বলল আয় বাবা ভাত রেডি করা আছে খেয়ে নে আগে।

লেখাটি শেয়ার করুনঃ
  • Print
  • Facebook
  • Yahoo! Buzz
  • Twitter
  • Google Bookmarks
  • Add to favorites
  • Google Buzz
  • Live
  • Orkut
  • email

4 thoughts on “মেয়েটি

Comments are closed.