পলাশের এলোমেলো

আমার প্রিয় একাট মানুষের ব্লগের লিংক আজ শেয়ার করলাম, মূলত সে হচ্ছে রম্য লেখক।

আমি পলাশ মাহমুদ। এ পৃথিবীতে প্রথম যখন আসি অথ্যাৎ জন্মগ্রহন করি তখন ছিলো রাত তিনটা। চারিদিকে গুট-গুইট্টা অন্ধকার। বিদ্যুৎ ছিলো না। বাবা আমার জন্মগ্রহনের সংবাদ শুনে বাড়ির বারান্দায় আযান দিয়েছিলেন। প্রচন্ড ঘুট-ঘুটে অন্ধকারের জন্যই মনে হয় আমি পৃথিবীতে কাল বর্ন নিয়ে জন্মগ্রহন করেছি। হায়রে কারেন্ট তখন থাকলে কি তোর এমন সমস্যা ছিলো- তাহলে আর এখন কালো হতাম না। এখনো যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে- কি পলাশ মিয়া, তুমি এতো কালো কেন?
আমার সর্ট কাট উত্তর- লোডশেডিং-এর সময় জন্মগ্রহন করছি তো তাই!

লোডশেডিং নিয়ে আমি যেমন মনক্ষুন্ন ঠিক তেমনি আমার পলাশ নামটা নিয়েও। পলাশ নামের পিছে অলটাইম একটা লাশ ঘুরঘুর করছে। বাবা-মা ভুল করেই হোক আর ফুল ভেবেই হোক কি জন্য যে এই নামটা রেখেছে তা এখনো মাঝে মাঝেই আমাকে ভাবায়। কোন বাবা-মাই নিশ্চয়ই চাবেন না তার সন্তানের পিছে অলটাইম একটা লাশ ঘুরাফেরা করুক।

তো যাই হোক বাবা মার দেওয়া নাম হচ্ছে পলাশ। নিজের কাছে পলাশ নামটা খুবই ছোট ছোট মনে হতো তাই একে বড় করবার জন্য নিজেই নামের পিছে লাগিয়ে ফেললাম মাহমুদ। কিভাবে কি করে যেন এই নামটাই প্রচার হয়ে গেলো ব্যাপক ভাবে। খালি পলাশ বললে অনেকেই এখন চিনতে পারে না।

আমি খুবই সাদা সিদে জীবন যাপন করি। ছোট কাল থেকেই খুব গম্ভীর। সহজে কথা বলি না কিন্তু একবার বলা শুরু করলে সহজে থামিও না।

বন্ধু বলতে আমার জীবনে কেউ নেই বললেই হলো। ক্লাশ মেটকে যদি বন্ধু ধরা হয় তাহলে অনেক আছে এবং নেট পরিচিত কে যদি বন্ধু বান্ধব পর্যায়ে ফেলা হয় তাহলেও বন্ধুত্বের পরিমান নেহায়েত কম হবে না।

আমার ভালো লাগে বই পড়তে, কবিতা আবৃত্তি করতে। গান মোটামুটি পছন্দ করি; শুধু মাত্র বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া টাইপের গান বাদে।

আমার সময় কাটে বই পড়ে, টুকটাক লেখালেখি করে, কম্পিউটার চালিয়ে এবং প্রচুর বই পড়ে।
লিংক: http://polashmahmud.com/

লেখাটি শেয়ার করুনঃ
  • Print
  • Facebook
  • Yahoo! Buzz
  • Twitter
  • Google Bookmarks
  • Add to favorites
  • Google Buzz
  • Live
  • Orkut
  • email

2 thoughts on “পলাশের এলোমেলো

Comments are closed.