ইলেকট্রনিক্স প্রেমি বা প্রফেশনালদের প্রায়ই ঝামেলায় পড়তে হয় রেজিষ্টর এর মান বের করতে। এই ঝামেলা পূর্ণ কাজটা সহজ করতে এই লিংকে ক্লিক করে দেখুন।
Category Archives: বিবিধ
চুলবুল পান্ডের চার বাচ্চা ( আপডেট ১১-০৪-২০১২)
এমকাতরী কোরমা এবং সালাদ
আজকে ( ২০-০১-২০১২ ইং) তৈরি করলাম কোরমা এবং সালাদ। করতে গিয়ে নিজে কিছু মডিফাই করলাম যার জন্য এই কোরমা নাম দিলাম এমকাতরী কোমরা।
এমকাতরী কোরমা জন্য উপকরন সমূহঃ
১। খাসির মাংস বড় টুকরো করে কাটা পিস ১ কেজি
২। টক দই ৪০০ গ্রাম
৩। দুধ ঘন করে ঘোলানো ২ কাপ
৪। আদা বাটা ৩ চা চামচ
৫। রসুন বাটা ২ চা চামচ
৬। এলাচি, দারচিনি পরিমান মতো
৭। লবন ২.৫ টেবিল চা চামচ ( প্রয়োমনে বাড়াতে বা কমাতে পারেন)
৮। হিং এক চা চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ
৯। জিরার গুড়ি ১ চা চামচ
১০। গরম মসল্লার গুড়ি ১ চা চামচ
১১। পিয়াজ কাটা ৩ কাপ
১২। পিয়াজ বাটা ১ কাপ
১৪। ঘি ২ চা চামচ
১৫। তেল পরিমান মতো
১৬। কাচা মরিছ ৮-১০ টি
প্রনালীঃ
১। প্রথমে বাটা আদা, রসুন এবং লবন একত্রে মাংসের সাথে মিশিয়ে ১ ঘন্টা পর্যন্ত রেখে দিন।
২। চুলাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হাড়ি বসিয়ে দিন এবং তাতে ঘি , তেল দিয়ে গরম করতে থাকুন এবং অন্য একটি পাত্রে ১০ কাপের মত পানি গরম করতে থাকুন।
৩। তেল এবং ঘি গরম হয়ে গেলে তাতে কেটে রাখা পিয়াজ ভাল করে কষিয়ে নিন এবং কষানোর পর এতো এলাচি, দারচিনি এবং হিং মিশিয়ে কিছুক্ষন গরম করে নিন। এর সাথে কাচা মরিচগুলো যুক্ত করে নিন।
৪। এবার আদা,রসুন,লবন মিলানো মাংস গুলি হাড়িতে ঢেলে দিন এবং ভাল করে কষিয়ে নিন। এ সময় আচ বাড়িয়ে নিন এবং ডাকনা দিয়ে রাখুন । কিছুক্ষণ পর পর চামচ দিয়ে নাড়া-চাড়া দিয়ে নিন যেন হাড়ির নিচে মসল্লা গুলি লেগে গিয়ে পুড়ে না যায়।
৫। ভাল করে কষানো হয়ে গেলে জিরা এবং গরম মসল্লার গুড়ি তাতে ঢেলে দিন।
৬। এবার ২ মিনিট পরেই দুধ এবং টক দই হাড়িতে ঢালুন। চামচ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং হাড়িতে ডাকণা দিয়ে ঢেকে দিন।
৭। এসময় চুলার আচ কমাবেন না। কিছুক্ষন পর পর দেখে নিন, শুকিয়ে যাচ্ছে কিনা, যদি শুকিয়ে যায় তাহলে অন্য পাত্রে থাকে গরম পানি ১ কাপ করে হাড়িতে দিয়ে নিন। এভাবে চালাতে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত মাংস নরম হয়ে যায়।
৮। মাংস নরম হয়ে আসলে আচ কমিয়ে দিয়ে প্রায় ২০ মিনিট রেখি দিন এবং এসময় খেলায় রাখুন যেন কোরমাতে ঝুল তথা পানির যেন শুকিয়ে না যায়।
৯। ২০ মিনিট পর হাড়ি নামিয়ে ফেলুন ।
হয়ে গেল এমকাতরী কোরমা।
ছবিঃ আমার নিজের তোলা
সালাদ
উপকরনঃ
১। দেশী শসা ৪ পিস ছোট সাইজ
২। মাঝারী সাইজর গাজর ৩ পিস
৩। কেসসিক্যাম ১ পিস
৪। সরিষার তেল পরিমান মতো
৫। প্রাণের জলপাই আচার ২ চা চামচ
৬। কাচা মরিচ ৬ টি
৭। টকদই তরকারীর চামচে ৩ চামচ পরিমান
৮। বিচি ফেলা দেওয়া জয়তুন (ভিতরে গজর দেওয়া) ৩০ টি
৯। লবন পরিমান মতো
প্রনালীঃ
১। এক পিস গাজর এবং আর্ধেকটি কেসসি ক্যাম গোল করে কেটে নিন এবং বাকি গুলি গোল করে কেটে এরপর চিকন করে কেটে নিন। কাচা মরিচ গুলিকে কুচি করে এবং শসাগুলোকে প্রথমে গোল এবং পরে চিকন করে কেটে নিন। ২০টি জয়তুন কে কুচি করে কেটে নিন।
২। এবার একটি পাত্রে চিকন করে কেটে নেওয়া শসা, গাজর,জয়তুন এবং কেসসিক্যাম গুলিকে লবন, সরিষার তেল,দই, প্রাণের জলপাই আচার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। গোল করে কেটে রাখা গাজর এবং কেপসিক্যাম গুলা তার উপর সুন্দর করে সাজিয়ে নিন। মনে করে বাকি ১০ টি আস্ত থাকা জয়তুন তার উপর সাজিয়ে দিন।
ছবিঃ নিজের তোলা
পলাশের এলোমেলো
আমার প্রিয় একাট মানুষের ব্লগের লিংক আজ শেয়ার করলাম, মূলত সে হচ্ছে রম্য লেখক।
আমি পলাশ মাহমুদ। এ পৃথিবীতে প্রথম যখন আসি অথ্যাৎ জন্মগ্রহন করি তখন ছিলো রাত তিনটা। চারিদিকে গুট-গুইট্টা অন্ধকার। বিদ্যুৎ ছিলো না। বাবা আমার জন্মগ্রহনের সংবাদ শুনে বাড়ির বারান্দায় আযান দিয়েছিলেন। প্রচন্ড ঘুট-ঘুটে অন্ধকারের জন্যই মনে হয় আমি পৃথিবীতে কাল বর্ন নিয়ে জন্মগ্রহন করেছি। হায়রে কারেন্ট তখন থাকলে কি তোর এমন সমস্যা ছিলো- তাহলে আর এখন কালো হতাম না। এখনো যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে- কি পলাশ মিয়া, তুমি এতো কালো কেন?
আমার সর্ট কাট উত্তর- লোডশেডিং-এর সময় জন্মগ্রহন করছি তো তাই!
লোডশেডিং নিয়ে আমি যেমন মনক্ষুন্ন ঠিক তেমনি আমার পলাশ নামটা নিয়েও। পলাশ নামের পিছে অলটাইম একটা লাশ ঘুরঘুর করছে। বাবা-মা ভুল করেই হোক আর ফুল ভেবেই হোক কি জন্য যে এই নামটা রেখেছে তা এখনো মাঝে মাঝেই আমাকে ভাবায়। কোন বাবা-মাই নিশ্চয়ই চাবেন না তার সন্তানের পিছে অলটাইম একটা লাশ ঘুরাফেরা করুক।
তো যাই হোক বাবা মার দেওয়া নাম হচ্ছে পলাশ। নিজের কাছে পলাশ নামটা খুবই ছোট ছোট মনে হতো তাই একে বড় করবার জন্য নিজেই নামের পিছে লাগিয়ে ফেললাম মাহমুদ। কিভাবে কি করে যেন এই নামটাই প্রচার হয়ে গেলো ব্যাপক ভাবে। খালি পলাশ বললে অনেকেই এখন চিনতে পারে না।
আমি খুবই সাদা সিদে জীবন যাপন করি। ছোট কাল থেকেই খুব গম্ভীর। সহজে কথা বলি না কিন্তু একবার বলা শুরু করলে সহজে থামিও না।
বন্ধু বলতে আমার জীবনে কেউ নেই বললেই হলো। ক্লাশ মেটকে যদি বন্ধু ধরা হয় তাহলে অনেক আছে এবং নেট পরিচিত কে যদি বন্ধু বান্ধব পর্যায়ে ফেলা হয় তাহলেও বন্ধুত্বের পরিমান নেহায়েত কম হবে না।
আমার ভালো লাগে বই পড়তে, কবিতা আবৃত্তি করতে। গান মোটামুটি পছন্দ করি; শুধু মাত্র বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া টাইপের গান বাদে।
আমার সময় কাটে বই পড়ে, টুকটাক লেখালেখি করে, কম্পিউটার চালিয়ে এবং প্রচুর বই পড়ে।
লিংক: http://polashmahmud.com/