ট্যালি (ধারাবাহিক) পর্ব-১

ট্যালি দিয়ে খুব সহজেই আপনার প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশ কে কম্পিউটারাইজ করে নিতে পারেন।

এর ফিচারগুলো নিম্নে দেওয়া হলঃ

  • লেজার বুক
  • প্রতিটি লেনদেনে জন্য ভাউচার
  • ট্রাইল ব্যালেন্স
  • ব্যালেন্স শীট
  • ইনভেনটরি
  • পে-রোল
  • কস্ট সেন্টার
  • পয়েন্ট অফ সেলস
  • ডে বুক
  • ডাটা ইমপোর্ট এবং ব্যাকআপ
  • নেটওয়ার্ক সাপোর্ট
  • মাল্টি ল্যাঙ্গুয়েজ
  • মাল্টি কারেন্সী
  • একাধিক ইউজার
  • এবং অন্যান্য

এটির সব চেয়ে বড় সুবিধা দেখলাম, এটি ইন্সটল করে নিয়ে , এর ইন্সটল করা ফোল্ডারটি আপনার পেন ড্রাইভে কপি করে নিন এবং অন্য আরেকটি কম্পিউটারে সেটি অপেন করে দেখুন, কি অবাক হয়ে গেলেন! ভার্সন ৯ এ আমি ট্রাই করে দেখেছি, ভালই কাজ করে।

ট্যালি একটি কর্মাসিয়াল একাউন্টিং সফটওয়্যার তাই এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে পে করতে হবে। তবে আশার কথা হলো এর একটি এডুকেশন ভার্সন রয়েছে যা দিয়ে আপনি লারনিং এর কাজ গুলো চালিয়ে যেতে পারবেন। আর কিছু কমু না কইলে বুইঝা ফালাইবেন।

প্রশ্ন জাগতে পারে , আমি তো একাউন্টিং জানি না, আমি কি শিখতে পারবো? জী পারবেন, তার জন্য আপনাকে একাউন্টিং খুব একটা জানতে হবে না।

আসুন ট্যালি শিখার আগে , যে প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি ব্যবহার করবেন তার ধরন কি তা জেনে নিই।

ধরে নেন আপনার প্রতিষ্ঠানে নিম্নের কাজগুলি হয়ে থাকেঃ

১। পন্য ক্রয়

২। স্টক

৩। বিক্রয়

৪। ক্রয় এবং বিক্রয় ফেরত

৫। বিভিন্ন ধরনের খরচ ( বেতন , বিল ইত্যাদি)

৬। ব্যাংকিং

আবার ধরি আপনার একটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান আছে , যেখানে নিম্নের কাজ গুলি হয়ে থাকেঃ

১। পন্য ক্রয়

২। স্টক

৩। প্রাইস লিস্ট ( খুচরা , পাইকারী, স্পেসাল অফার)

৪। বিক্রয়

৫। সার্ভিসিং

৬। ট্রেনিং

৭। ব্যাংকিং

৮। বিভিন্ন ধরেন খবর

৯। বিবিধ ইনকাম

আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠান আছে, এতো সেতো বুঝি না বাপু, ১০০০০ (দশ হাজার) টাকার পন্য ক্রয় করেছি, ১১০০০ ( এগার হাজার) টাকায় বিক্রয় করেছি , কোন স্টক টেস্টক এর হিসাব রাখি না।

এবার আসনু হালকা পাতলা হিসাব বিজ্ঞান জানার চেস্টা করি।

একটা লেনদেন এর দুটা সাইড থাকে । যেমনঃ আপনি ১০ টাকা দিয়ে একটি কলম ক্রয করেছেন , এতে আপনি ( ক্রেতা )পেলন পন্য এবং আপনার কাছ হতে চলে গেল ১০ টি টাকা। এর মানে কি দাড়ালো , টাকার বিনিয়মে একটা পন্য পেলেন। এখানে যা পেলেন(পন্য) তা ডেবিন এবং যা হারালেন( টাকা) তা ক্রেডিট। কি টিউনার ভাই সকল এতটুকু কি বুঝে এসেছে?

একটা প্রতিষ্ঠানের হিসাবের দুটা দিক থাকে। দায় এবং সম্পত্তি। আর বেশী কিছু জানার দরকার নেই , হিসাব বিজ্ঞানের এই সামান্য জ্ঞান নিয়েই আমরা ট্যালি শিখে নিতে পারবো।

[ তবে একখান কথা, ভালভাবে শিখার জন্য হিসাব বিজ্ঞানের উপর অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে। ]

লেখাটি শেয়ার করুনঃ
  • Print
  • Facebook
  • Yahoo! Buzz
  • Twitter
  • Google Bookmarks
  • Add to favorites
  • Google Buzz
  • Live
  • Orkut
  • email

3 thoughts on “ট্যালি (ধারাবাহিক) পর্ব-১

Comments are closed.