কিছুদিন আগে আলাইন এর সবচেয়ে উচু পাহাড় জাবেল হাফেত এ গিয়েছিলাম।
প্রচুর ছবি তুলে ছিলাম, কিন্তু আলসমীর কারণে কোন কিছুই শেয়ার করা হয় না।
আজ ঐ সব ছবি হতে পাথরের উপর লিখা কিছু নমুনা দেখুন।
Category Archives: ভ্রমণ
আযমান হতে শিলা
আরব আমিরাতে এসেছি বেশ কিছুদিন গত হলো। এ কদিন কাজ বলতে খাওয়া-দাওয়া আর এই ফাকে কাজ কর্ম কিছু একটা ঝুটিয়ে নেওয়া। কিন্তু এ দেশ এমন এক জায়গা যেখানে সহজেই ছুকরী পাওয়া যায়, কিন্তু নুকরী পাওয়া যায় না।
আমি থাকি আজমানে, আর আমার মামা ( জে জে এর মামা না) থাকে শিলাতে। আমিরাতে এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে। ২৪ তারিখ, শনিবার সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠে (এই কদিন ধরে সকাল ১২ টায় উঠতাম, তাই সকাল ৭ টাই উঠতে বেশ বেগ পেতে হলো। ) ট্যাক্সি ধরলাম, উদ্দেশ্য শারজা এসে বাস ধরবো। ১৫ মিনিটে এসে গেলাম। এসে দেখি আবু ঢাবির বাস ছাড়বে ৮.১৫তে। কি আর করা অপেক্ষা করতে থাকলাম। প্রায় ১৫০ কি.মি. পাড়ি দিয়ে সাড়ে ১০ টাই এসে পৌছে গেলাম। বাস কাউন্টারে এসে জানতে পারলাম শিলার উদ্দেশ্যে বাস ছাড়বে বেলা ১.৩০ এ। এই তিন ঘন্টা কি কবরো তাই ভাবছিলাম, আতকা ( হঠাৎ) মনে পড়লো আরে , আমাগো কে বি মামা তো আবু ঢাবিতে থাকে, দিলাম কেবি মামারে ফোন, কেবি মামা কইলো , মাইক্রো আমার বাসায় আসতে মাত্র ১০ মিনিট লাগবে, একটা ট্যাক্সিতে উঠে চলে এলাম। দেখি মামায় নিচে অপেক্ষা করছে। আমি আসার সাথে সাথেই কেবি মামা, গামা মামারে ফোন দিল, গামা মামা ৩০ মিনিটে পৌছে যাবে জানতে পারলাম। এর মধ্যে পি জে মামারে ফেন করা হলো। মামায় কয়, মাইক্রো তুমি আমার কাছে থাকো অথচ আমার লগে দেখা না কইরা, এতো দূরের পথ আবু ঢাবিতে ওগো লগে দেখা করতে চলে আইলা। মনে পড়লো, মক্কার মানুষ হজ্ব পাইনা, তারে ক্যামনে কই আমিতো আসলে শিলা যাওয়া জন্য রওনা হইছি। এরপর কেবি মামার রুমে প্রবেশ করলাম। ওরি বাবা এ দেখি বাঙ্গালী শেখের বাসা। কি আলিশান বাসারে বাবা। মনে মনে একটু খুশি হলাম, যাক কালো বাঘের গুহাটায় একটা রাজকীয় ভাব আছে। এর মধ্যে কথায় কথায় জানতে পারলাম, কেবির আপা কদিন আগে তুরস্ক হতে ঘুরে এসেছে। একটু পর কেবি তুরস্ক হতে আগত মিষ্টি এনে দিল। প্লেট রাখার সাথে সাথে্ কলিং বেল বেজে উঠলো , মিষ্টির গন্ধে মাছির আগমন ( গামা সাইফ মামার আগমন। ) । গামা মামর শরীরের সাইজ দেইখ্যা আমি বেশ ভয়ে ভয়ে কোলাকুলি করলাম। গামা মামা আসার পর আর বাসায় বসলাম না। তিন জনে মিলে বাইরে চলে এলাম। গামায় কইলো চলো মামা আগে পেট পুজা করে আসি। এতক্ষনে বুঝলাম সাইফ মামা, হাউ টু হইল গামা। গামার যেন খাওয়ার জন্য বাইচা আছে। তারে দেইখা মনে হইলো , খাওয়ার জন্য হে মানব তুমি চীন দেখে যাও । এর মধ্যে কেবি এর গামার মধ্যে খুনসুটি লেগে আছে। আমি নতুন অবস্থায় তাদের এই খুনসুটি বেশ উপভোগ করছিলাম।
একখানা পাকিস্থানী রেস্টুরেন্ট এ সবাই প্রবেশ করলাম। ঘড়িতে দেখলাম ১ টা প্রায় বাজে। সাইফে একের পর এক খানা অর্ডার করতে লাগলো, আর ওয়েটার বেচারা বলতে লাগলো ৩০ মিনিট লাগবে এগুলো সার্ভ করতে। আমি তাগাদা দিয়ে সাইফ মামারে কইলাম , এখন যা রেডি আছে , তাই যেন অর্ডার কারা হই। সাইফ মামা একুট মোচড় দিয়া উঠলো, আমি কইলাম মামা এই দেশে যখন আইছি , তখন আবার দেখা হবে, এখন খানার তালে যদি বাস মিস করি তাইলে মামার বাংলা শুনতে হবে। খাওয়া – দাওয়া শেষ করেই বাসের ধরতে ছুটলাম, এর মধ্যে কেবি বার বার বলতে লাগলো আজে বিকালটা আমাদের সাখে কাটিয়ে তারপর যাওয়ার জন্য , আমি বললাম এখন বাস না ধরতে পারলে , যেতে রাত ১১ টা বেজে যাবে। আমি যেতে চাইলে কি হবে , উপরওয়ালা মনে হয় কেবি আর গামার ডাক আগেই কুবল করে রেখেছিল। গিয়ে দেখি বাস টাইমলিং ছেড়ে দিয়েছে, আর আমরা যেতে টাইমের চাইতে ১০ মিনিট ওভার করে ফেলেছি। কেবি আর গামা তো মহাখুশি। ফোন করে মামাকে জানালাম মামা ট্যাক্সিতে জ্যামে আটকে গিয়েছিলাম তাই বাস মিস করেছি। মামা কিছুটা রাগ হলো, বললো জেন ৪.৩০ এর বাসে চলে আসি।
এবার গামার কারে করে যাত্রা শুরু করলাম আবু ঢাবি বিচ এ। বিচ এ কিছুক্ষন বসে কারের দিকে ফিরে আসছি , এমন সময় বিচপার্কে একখান আইটেম তার সিসটেম এর সাথে বসে গল্প করছে, গামা মামার চোখ গিযে পড়লো তাদের উপর, ,মামায় কই মাইক্রো আসো একটু কাছে গিয়ে সাইজ দেইখ্যা আসি, কাছে যেতেই কুমার বিশ্বজিৎ এর গানের একটা লাইন মনে পড়ে গেল, “দূর থেকে সুন্দর কাছে গেলে দেখি তাতে প্রাণ নেই। “
কারে বসে কেবিরে ডেইট ওভার দুধের গল্প বললাম। গল্পটা ছিল এইরকম, এক লোক একজন বয়স্ক মহিলারে বিয়ে করেছিল, বিয়ের পরদিনই সে মারা গেল।এর পরদিন ময়নাতদন্ত করে জানা গেল ঐ ব্যাক্তি মেয়াদউর্ত্তীন দুধ পান করার ফলে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এবার চললাম , বিচ সংলগ্ন মেরিনা মলে। বেশ কিছুক্ষন ঘুরাঘরি করে কফি শপে বসলাম। কেবি কফি নিয়ে এলো । ২০ দেহরামের একটা করে কফি, খাওয়ার সময়ই টের পেলাম যে কড়া আজ রাতে ঘুমের ১২টা বাজবে।
এর পর আবার বাস ধরতে রওনা হলাম এবং যথারীতি এবার ও বাস মিস করলাম। কাউন্টারে এসে জানতে পারলাম শিলাতে যাওয়ার সর্বশেষ বাস আছে বিকাল ৫. ৩০ এর। আর রিস্ক নিতে মন চাইলো না। গামা আর কেবি হতে বিদায় অপেক্ষা করতে থাকলাম।
কেবি আর গামায় আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ জে জে। জে জে কারনেই আজ তাদের সাথে পরিচিত হয়েছি, না হলে আবু ঢাবিতে বোকার মতো বসে থাকা ছাড়া আর কোন কাজ ছিল না। গামা আর কেবি রে ধন্যবাদ দিয়ে বন্ধুত্বের সর্ম্পকটাকে ছোট করতে চাই না।
সাড়ে পাচটায় সাব এলো রহিসে যাবে। শিলায় যাবে না। রহিস হতে শিলার দূরত্ব ১৩০ কিমি। বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। এর মধ্যে আমার পাশে বসে থাকে ছেলেটিকে জানতে চাইলে সে বললো, আমি বাংলাদেশী আপনি যদি চান আমার সাথে রহিসে গিয়ে রাতটা কাটিয়ে পরদিন সকালে শিলায় চলে যেত পারবেন। মনে একটু সাহস এলো। দেশের মানুষের প্রতি আরো একবার শ্রদ্ধায় মাতা নত করতে মন চাইলো। আমি তাকে বা সে আমাকে চিনে না, অচথ কত অবলীলায়, নিঃসংকোচে আমাকে আশ্রয় দিতে চাইলো।
এর পাচ মিনিট পরেই কাহিনী পাল্টে গেল , কাউন্টার হতে সুপারভাইজার এসে ঘোষনা করলো এই বাস শিলায় যাবে, রহিস যাওয়ার জন্য ভিন্ন আরেকটি বাস, এর ১৫ মিনিট পরে ছাড়বে। ঐ বাঙ্গালী বুন্ধটি বিদায় জানালাম। বাস চাড়লো। বাসে বসে একটা বিষয় নিয়ে মনে বেশ খটকা লাগলো। আমি শারজা থেকে ১৫০ কিমি এসেছি ভাড়া দিয়েছি ৩০ দেহরাম , কিন্তু আবু ঢাবি হতে শিলার দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিমি এর কাছিকাছি, ভাড়া চাইলো ১৫ দেহরাম। হিসাব মিলাতে পারলাম না। কি জানি হয়তো সব হিসাব মিলে না বা মিলাতে নেই।
শেখ জায়েদ মসজিদ
কিছু দিন আগে আমি ও আমার দুজন বন্ধু মিলে জুম্মার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম , এদেশের সর্ববৃহৎ
আপনাদের কাছে শেয়ার না করে পারলাম না। আসুন একবার দেখে নিই এই মসজিদের বিভিন্ন দিকগুলো।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীতে অবস্থিত এই সমজিদ টি সারা পৃথিবীতে ৮ম এবং নিজ দেশে ১ম ।
শেখ জায়িদ, কে আরব আমিরাতের জাতির পিতা বলা হয়, তার নেত্রিত্বের হাত দিয়েই এই দেশে প্রতিষ্ঠ হয়, তাই এই মসজিদের নামকরন তার নামে করা হয়। মসজিদটির বাইরের নিমার্ন কাজ এখনো চলছে, তথাপি এই মসজিদটিকে ২০০৭ সালের রমজান মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।এই মসজিদের ডানপাশে রয়েছে শেখ জায়িদ এর সমাধি, সেখানে প্রতিনিয়ত কুরআন তেলাওয়াত চলতে থাকে। কেউ যদি ক্যামের্যা নিয়ে যান তাহলে উক্ত মসজিদের সব কিছুই আপনি বিনা বাধায় ক্যামেরাবন্ধী করতে পারবেন, কিন্তু সমাধিস্থ কোন ছবি আপনাকে উঠাতে দিবে না। তাছাড়া বির্ধমী যে কেই এই মসজিদ দেখার জন্য প্রবেশ করতে পারে, শুধু মাত্র শুক্রবার ছাড়া, এছাড়াও মহিলা হলে কালো বোরকা পরিধান করে ভিতরে প্রবেশ এবং অমুসলিম নারী পুরুষ যেই হোক না কেন পবিত্র গ্রস্থ কুরআন কোনভাবেই স্পর্শ করতে পারবে না। |
পুরো নকসায় আরব, মুঘল এবং মুনরিস স্থাপত্যের একটি সংমিশ্রন দেখা যায়্।
মসজিদটি মুঘল এবং মুনরিস স্থাপত্যের দিকে অনুপ্রানিত হয়ে করা হয়েছে, যা লাহোর এর বাদশাহী মসজিদ এবং কাসাব্লাংকার হাসান টু মসজিদের সরাসরি ছায়া পাওয়া যায়। গুম্বজের নকসা এবং ফ্লোরের নকসা প্রনয়নে বাদশাহী মসজিদ হতে অনুপ্রানিত হয়ে করা হয়েছে এবং স্থাপত্যের কাঠামোগুলোর নকসা প্রনয়নে অনুপ্রানিত করা হয়েছে মুঝল এবং মুনরিস জিজাইন হতে। এর খিলান গুলো
দেখতে মুনরিস নকসার মতো এবং এর মিনারগুলোর নকসা করা হয়েছে আরবের ঐতিহ্যকে সামনে রেখে। প্রধান নামাজকক্ষের দেওয়ালে রয়েছে আল্লাহ গুনবাচক ৯৯টি নাম এবং এর নকসাগুলোতে বিশেষ একধরনের লাইটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেখে মনে হতে পারে প্রতিটি নকসার লাইনের সাথে বুঝি আলো জালানো আছে। পুরো মসজিদের আগা হতো গোড়া পর্যন্ত কারুকাজ থচিত নকসা করা।
-
বিশ্বের সবচেয়ে দামী এবং সর্ববৃহত কার্পেট এইখানে ব্যবহার করা হয়েছে, যা কার্পেট তৈরির বিশ্বখ্যাত দেশ, ইরান হতে আল খালিকি নামক ডিজাইনারে ডিজাইনকৃত। এই কার্পেট এর আয়াতন ৫৬২৭ ঘন মিটার বা ৬০৫৭০ ঘন ফিট, যা তৈরি করতে ১২০০ তাতি, ২০ জন টেকনিশযান এবং ৩০ জন্য শ্রমিক এর শ্রম ব্যায় করতে হয়েছে। কার্পেটটির ওজন মোট ওজন হলো ৪৭ টন, এর মধ্যে ৩৫ টন উল এবং ১২ টন কটন ব্যবহার করা হয়েছ। মোট কটন ব্যবহার করা হয়েছে ২২৬৮০০০০০০টি ।
-
এই্ মসজিদে জার্মানী হতে আআমদানীকুত যে ঝাড়বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়েছে , তা আয়াতনে বিশ্বের আর কোথাও নেই। এর ডায়ামিটার হলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফিট এবং এর উচ্চতা হলো ১৫ মিটার বা ৪৯ ফিট।
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
Basic information | |
Location | Abu Dhabi![]() |
Geographic coordinates | ![]() |
Affiliation | Islam |
Architectural description | |
Architect(s) | Mohammad Ali Al-Ameri Spatium Halcrow Speirs and Major Associates |
Architectural type | Mosque |
Year completed | 2007 |
Construction cost | 2 billion dirhams ($545 million) |
Specifications | |
Capacity | 40,000 |
Dome(s) | 82 domes of seven different sizes |
Dome height (outer) | 75 m (246 ft) |
Dome dia. (outer) | 32.2 m (106 ft) |
Minaret(s) | 4 |
Minaret height |